ড্রাগন ফল গাছের যত্ন Options
ড্রাগন ফল গাছের যত্ন Options
Blog Article
গাছের বৃদ্ধির যেকোনো অবস্থাতেই এ রোগ হতে পারে। মাটির ঠিক উপরে গাছের কাণ্ডে লালচে বাদামি দাগ পড়ে। ধীরে ধীরে এই দাগ বিস্তার লাভ করে। বেশি হলে শিকড়েও ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত অংশ আস্তে আস্তে শুকিয়ে যায় ফলে গাছ দুর্বল হয়। ফলন কম হয়, কখনো কখনো গাছ মরেও যেতে পারে।
৬. ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক , দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।
গাছের পরিচর্যা: ড্রাগন ফল গাছের সঠিক পরিচর্যা না করলে ফলন ভালো হবে না। ড্রাগন গাছের কান্ড লতানো প্রকৃতির। তাই চারা লাগানোর পর গাছ কিছুটা বড় হয়ে গেলে গাছকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য খুঁটি বা পিলার পুঁতে দিয়ে পিলারের মাথায় গোল আকার কোন কিছু যেমন টায়ার বেঁধে দিতে হবে, এতে গাছ সহজে ঢলে পড়বে না। গাছে অতিরিক্ত বা রোগাক্রান্ত শাখা বের হলে তা কেটে ফেলে দিতে হবে।
ড্রাগন ফ্রুট গাছ ক্যাকটাস সদৃশ্য এবং ছোট গোলাকার ফলের ভিতরের অংশ সাধারনত লাল ও সাদা বর্ণের হয়ে থাকে। ড্রাগন ফলের ভিতরের অংশে ছোট ছোট নরম বীজ থাকে। আমাদের দেশের আবহাওয়া ড্রাগন ফল চাষের জন্য উপযুক্ত এবং এখন পর্যন্ত পরিক্ষামূলক চাষেও ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। আপনি চাইলে বাড়ির ছাদ বাগানে বড় টবে বা ড্রামে ড্রাগন ফল চাষ করে শখ পুরণ ও পুষ্টি আহরণ দুটোই করতে পারেন। নিম্নে ছাদ বাগানে ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হলো।
সাড়ে সাত বিঘা ড্রাগন বাগানে ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম। (যশোর প্রোজেক্ট)
ছাদ বাগানের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রাদি কোদাল, গার্ডেন ফর্ক, বাডিং নাইফ, সিকেচার, প্রুনিং শেয়ার, করাত, ব্যালেন্স, ডিবলার, ওয়াটারিং ক্যান ইত্যাদি সংগ্রহে রাখতে হবে। পাত্রসমূহের মধ্যে ট্রে, সীডপ্যান, পট, প্লাস্টিক পট, গ্রোইংব্যাগ, বালতি, পলিব্যাগ, ড্রাম, হাফ ড্রাম, মাটির বোল ইত্যাদি।
ন্যাস্টারশিয়াম ফুল গাছের যত্ন এবং বীজ থেকে চারা তৈরীর প্রদ্ধতি
আঙ্গুর চাষ পদ্ধতি get more info সম্পর্কে বিস্তারিত
ড্রাগন ফলের কাটিং থেকে বা চারা গাছ রোপনের পর এক থেকে দেড় বছর বছরে ফল সংগ্রহ করা যায়। ফল যখন সবুজ থেকে সম্পূর্ণ লাল বা হলুদ রঙ ধারণ করবে তখন সংগ্রহ করতে হবে। গাছে ফুল ফোঁটার ৩৫-৪০ দিনের মধ্যেই ফল চয়নযোগ্য হয়ে যায়। সম্পূর্ণ রাপান্তরিত হতে ২ মাস সময় লাগে।
সার প্রয়োগ : মাছ, মাংস ও তরকারি ধোয়া পানি গাছে ব্যবহার করলে গাছের খাবারের অভাব কিছুটা পূরণ হয়। এছাড়াও মিশ্র সার, হাড়ের গুড়া মাঝে মাঝে এবং অনুখাদ্য (দস্তা, বোরন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ) বছরে একবার প্রয়োগ করা ভালো। মাছের কাঁটা, হাড়ের টুকরা, ডিমের খোসা, তরিতরকারির পরিত্যক্ত অংশ, পাতা, একটা ড্রামে পঁচিয়ে নিয়ে ছাদ বাগানে ব্যবহার করা ভালো। কয়েক বছরের বয়স্ক গাছের গোড়ার চারধারে সাবধানে কিছু মাটি উঠিয়ে ফেলে নতুন ভাবে পটিং মিডিয়া দিয়ে ভরাট করা হলে গাছের স্বাস্থ্য ফেরানো সহজ হয়। সম্ভব হলে গাছকে ছাঁটাই করে কিছু মাটিসহ উঠিয়ে নিয়ে সার মিশ্রিত মাটি পরিবর্তন করার ব্যবস্থা নেয়া যায়। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ছাড়া আগানো উচিত হবে না। জেনে শুনে তা করা যেতে পারে। অপেক্ষাকৃত ছোট টব থেকে বড় টবে গাছ অপসারণ করার মাধ্যমে গাছকে স্বাস্থ্যবান করা যায়। যারা ছাদ বাগানে অভিজ্ঞ তাদের বাগান পরিদর্শন করে ও সফলতার দিকগুলো জেনে বা দেখে শিখে তা নিজ বাগানে প্রয়োগ করা উত্তম। ফুল-ফল ঝরা রোধে ও ফল ধরা বাড়াতে নানা প্রকার অনুখাদ্য/হরমোন (সিলভামিক্স, লিটোসেন, ফ্লোরা প্রয়োগ করে অনেকে সুফল আহরণ করে থাকে।
মানিপ্ল্যান্ট উদ্ভিদ সবচেয়ে বড় সুবিধা হল মাটি ছাড়াও জলে সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠে । তবে চাইলেও আপনি মাটিতেও প্রতিস্থাপান করতে পারেন, সেক্ষেত্রে জল নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত মাটি তৈরী করতে হবে। পরিবেশ এবং আমাদের সুস্থতার জন্য মানিপ্ল্যান্ট গাছের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে যা নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছে।
কৃষি প্রতিবেদন ও সাফল্য গাথাঁ সফলদের সাফল্য গাথাঁ
১১. গ্রীষ্মকালে তীব্র তাপ থেকে গাছগুলিকে বাঁচাতে সেডের ব্যাবস্থা করতে হবে এবং সকাল এবং সন্ধা দুবেলা জল দিতে হবে।
দেশি শিমের পাতায় কালো দাগ ও ফোস্কা পড়া দেখা দিলে মেনকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়। আর পাতায় হলুদ মোজাইক রোগ হলে গাছটি তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হয়। রোগটি জ্যাসিড বা সাদা মাছির কারণে হয়। এজন্য অন্যান্য সুস্থ গাছে ইমিডাক্লোরপিড বা ফেনথিয়ন গ্রুপের কীটনাশক স্প্রে করে জ্যাসিড বা সাদামাছি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।